হয়তো তারা অন্য কোনো সভ্যতার...
দিনগুলিকে আমি দেখতে পাই।
যেমন এক শ্যাওলা পড়া রবিবারকে দেখি
এঁদো পুকুরপাড়ে ঘুরে বেড়াতে,
কার গা খসখসে, হাত দিলে ঝুরঝুর বালি ঝরে পড়বে,
পরিত্যক্ত জঞ্জালের মাঝে পড়ে থাকা মঙ্গলের
কোণা লেগে তোমার বাহুর কাছে ছড়ে যাবে!
আমি সারাদিন একটা শনিবারকে ভিক্ষাপাত্র হাতে ওই
দশম শতকের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াতে দেখি —
আকাশের দিকে তাকিয়ে হয়তো দেখবে, কোনো
তাড়া নেই এইভাবে একটা কালো মেঘের মতো বুধবার
ঈশান কোণে গোঁ ধরে বসেই আছে।
কারুর নাম মুছে গেছে, চেনা যায় না, কোনো ঝোপের
ভেতর চুপ করে আছে — অন্ধকার সেখানে চাপচাপ।
হয়তো তারা অন্য কোনো সভ্যতার —অনেক যুগ
আগেকার সব — মাটির নিচে জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া
একটা দিনের গায়ে আমি দেখতে পাই চুম্বনের দাগ,
একটা পাথর টেনে তুললেই কোন এক সোম-রাত্রি
ঝড়ের গল্প বলতে থাকে,...
ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটা পার্কের নিচে চাপা পড়ে থাকা
রবিবারগুলো উঠে আসার অপেক্ষা করে আছে —
বিকেলের রোদ, লম্বা কোনো গাছের ছায়া আর
প্রেমাতুর যুবক যুবতীদের শরীরী গন্ধ তাদের গায়ে ...
দেখতে পাই , যখন অন্ধকার নামছে তখন ঐ থামটার আড়ালে
লজ্জায় লুকিয়ে থাকে একটা আবছা দিন,
তাকে চিনতে পারি না।
খুব ভালো লেখা 💐
ReplyDeleteদুর্দান্ত লেখা। অসামান্য লেখা। রণজিৎ অবশ্যম্ভাবী। এত মুগ্ধতা সত্যিই দুর্লভ।
ReplyDeleteচূড়ান্ত মেটাফিজিকাল। অসাধারণ কবিতা
ReplyDeleteঅসামান্য! রণজিৎ, অভিনন্দন।
ReplyDeleteআপনি বারংবার বিস্মিত করেন পাঠক কে... প্রণাম নেবেন স্যার
ReplyDeleteদুর্দান্ত লেখা । আপনার কবিতার বিমুগ্ধ পাঠক হয়ে উঠেছি । ভালবাসা নেবেন ।
ReplyDelete।। শুভদীপ নায়ক ।।
বরাবরই আপনার লেখায় মুগ্ধ হই।
ReplyDeleteদুর্দান্ত
ReplyDeleteরণজিৎ বরাবরই তোমার লেখা ভীষন ভাবায়। অদ্ভুত এক তরল সময়কে উপলব্ধি করি তোমার লেখার মধ্য দিয়ে।
ReplyDeleteরণজিৎ বরাবরই তোমার লেখা ভীষন ভাবায়। অদ্ভুত এক তরল সময়কে উপলব্ধি করি তোমার লেখার মধ্য দিয়ে।
ReplyDeleteকবিকে নিয়ে আমার মুগ্ধতা আমি কখনো গোপন করিনি,প্রতি কবিতায় তাঁর উত্তরণ আমায় বিস্মিত করে। এই কবিতা নিয়ে এটুকুই বলার যে গানের ধুঁয়া আজন্ম তাড়া করে ফেরে এমনই নির্মোক ব্যাপ্তি,এ তাই ই।
ReplyDeleteঅসাধারণ।
ReplyDeleteভীষণ ভালো লাগল
ReplyDeleteঅসাধারণ...বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়...
ReplyDelete