উল্কাপতন
কোন অলক্ষ্যে তোমার বসবাস? জেব্রানাটকীয়তায় য্যানো পূর্ণ হয়ে আছে তোমার জ্যোৎস্না বাৎসল্য
শরীর। স্তন হতে বের হয়ে আসে, নাক্ষত্রিক উল্কা।
সেগুন পাতাদের অশ্রুতে — পূর্ণ হয় অ্যাক্যুরিয়ামের লাবণ্য চোখ। শরীরের এই ম্যালোডি, আমাকে পেতে হবে ধীরে— যন্ত্রণামুখ সহাস্যে।
ওই রমণীদুয়ার খোলো;
আমি রওনা হবো, পথিকের আস্তানায়- মহাযাত্রিক কোনো ধ্রুব রচনার উদ্দেশ্যে। পৃথিবীর শেষ তৃণ
চিঠিটি— একজন বিড়ালসৈনিককে দিবো;
মদহস্তরত হয়ে, ভেবে বোসে আছি, এই কিঞ্চিৎ
বহিরঙ্গ রাত। তারপর সরব হয়ে, মৃত্যুকে বোলিবো,
“চলো হে অশ্ব, তোমার অলক্ষ্যে। যতোদূরে শেষ হয়
মহীবিশ্বের এই রমণীয় চিৎকার।”
বিজেত্রীয় দুঃখরা
পৃথিবীতে তুমিই এক নির্লজ্জ মহাপাখি; নক্ষত্রের ফাঁদে পা দিয়ে, সূর্যমন্ডলকে ভুলে থাকা, বেশ্যা এক।
পিস্তল তাক কোরে রাখো, বারুদের বুকে—
একদিন- অনন্য আলোগুলো ঝড়ে পড়বে, একের পর এক বিজেত্রীয় দুঃখগুলোর ভেতর।
ভূ-প্রজাপতি
পৃথিবীর কৌমার্য্যে নির্লজ্জ হবে,— সপ্তদল ঋষিপ্রেমিকা। হয়তো—
তারও বেশি আকস্মিক হয়ে রবে, এই ভূ-প্রজাপতি দৃশ্যাবলি।
ডায়ালিসিস
মিথ্যে কোনো ডায়ালিসিসের ভেতরে, হয়তো এই নারকীয় যাতনার কথা ভ্রমরের কান পর্যন্ত পৌছাবে না।
শ্যামঅরণ্যে দৌড়ে বেড়াবে— চিন্ময় ঘোড়া।
সবকিছু নির্জন, শূন্য রয়ে যাবে, হয়তো বহুকাল। হয়তো বহুকাল, প্রেম-প্রেতাত্মারা ঘুরে তাকাবে না।
রাজসিংহপাখি
একদিন ব্যাখ্যাতীত রাজ্যগুলোর দিকে যাবো। স্বপ্নের মেডুসায় প্রজ্জ্বলিত হলো ম্রিয়মাণ এই— ধূসরঘাসেদের এক প্রান্তিক আলো।
কোনো এক গিরিখাদে পা রেখে, রাজার সমূহবস্ত্র পরে উড়ে যাচ্ছি, কবুতর ডানাদের বনে।
দ্যাখা হলে, ‘রাজা’ বোলে ডেকো, ব্যাখ্যাতীত পাখিদের এইরূপ রাজ্যগুলোর ভেতর।
No comments:
Post a Comment