বাক্‌ ১৪৫ ।। অর্ঘ্যকমল পাত্র


 

অভাব

 

যদিও, স্বপ্ন থেকে কয়েকটি রাত

ভিতরে এ নীরবতা।

 

আমি কথা বলতে পারি না

আমি গান শুনতে পারি না

 

আমার মা ঘনঘন স্নান করতে বলে

আমার বাবা প্রতিদিন বাইকে স্টার্ট দেয়

 

এবং তুমিও সুলভ হতে বলো, যে আমি সব ভুলে থাকবো ভেবে 

ভালো থাকি। ঘুমের ভিতরে... 

 

 

 

 

অভিভাবক

 

গোপনে স্নেহের কথা আসে।

ঘৃণার জল শুকোনোর দাগ, আমার

তেরো নম্বর বান্ধবীর তিল।

ঠোঁটের নীচে, অধোবদন...

 

গোপনে, জানলা ক্রমশ শুশ্রূষা করে।

সান্ধ্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে, প্রতিটি

ব্যথা-বেদনায় গৃহবধূ হই

 

এবং নিরাময়ের রান্না চড়াতে 

এগিয়ে যাই চোদ্দ নম্বরের দিকে...

 

 

 

 

তৃতীয় কোনো নারী

 

চারটে চোখ মিলে গেলেই

নতুন সংসার হাইওয়ের মতো হয় না!

 

পাখিদের চোখে যতটা দেখেছি, 

তাতে জামার ওপরের দুটো বোতাম

খোয়া গেছে!

 

শুকনো মাটিতে কি চারাগাছ হয়?

ওই হাত ধরব বলে, জল দিয়েছি বিস্তর

জল দিতে দিতে

দিতে দিতে দিতে...

মাটি নরম হয়।  আর

পায়ের তলা থেকে,  ক্রমশ সরে যেতে থাকে...

 

 

 

আর্টফিল্ম

 

সমস্তকিছুকে এই হেলে পড়া ঘর থেকে

বের করে আনতে হবে। শুধু এটুকুই...

 

সুতরাং, ডিরেক্টর কথা বন্ধ রেখেছে

তার মায়ের সঙ্গে

 

 

 থমথমে মুখে নায়ক-নায়িকারা লাঞ্চ করছে

নরম রোদে গান বানাচ্ছে গায়ক

 

শুধু ফোটোগ্রাফারকেই ব্যস্ত রাখা হয়েছে। 

বাউলের সাথে সাথে 

তাকেও  ডিরেক্টর ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে 

 

     পথের দিকে...

 

 

 

6 comments:

  1. তৃতীয় কোনো নারী 😍😍😍😍 অবাক লিখলি রে ছেলে

    ReplyDelete
  2. প্রতিটি ব্যথা বেদনায় গৃহবধূ হই, এবং নিরাময়ের রান্না চড়াতে এগিয়ে যাই চোদ্দ নম্বরের দিকে। ❤️❤️❤️

    ReplyDelete
  3. বাঃ
    মুগ্ধ, বরাবরের মতোই

    ReplyDelete
  4. সবকটি খুব ভাল, বরাবরের মতো

    ReplyDelete
  5. প্রতিটি কবিতাই ভীষণ সুন্দর। খুব ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  6. কবিতাগুলো বেশ ভালো ভাই ❤❤❤

    ReplyDelete