বাক্‌ ১৪৫ ।। অয়ন্ত ইমরুল

 

বাড়া সূর্যাস্তের এই ফাঁকা জোনাকি

 

নয়ন তারার দিকে চোখ,দীর্ঘ মিটমিট

ভাঙা বিকেল,

বিকেলের তল্পিতল্পা সিঁথিহাঁস কুড়িয়ে ফিরে।

 

বাড়া সূর্যাস্তের এই ফাঁকা জোনাকি

ঢেউ দিয়ে যায়

জামিরের বনেযত ভুল স্মৃতি,

মার্বেল গড়িয়ে যাওয়া ঢাল;একটা কাচের ঘড়ি এলার্ম ফেল করে,

সেখানে প্রতিমর্ম বলে কেউ ডাক দেয়

 

অয়ন চিলের ডানায় কি না

সমুদ্রবাতাসে,দূর হতে দেখি প্রবল হেমন্ত

আমার মাথাল পরে সোনালী সুরেলায় একাকার...

 

 

এই শীতে রোদ পোহাবো বলে পুকুর পাড়ে বসে আছি সেই সকাল থেকে।খুব শান্ত পুকুর।একটা পটকা মাছের ভেসে থাকা দেখতে দেখতে যেই দুপুর পেরোবো বলে কাৎ হলাম হাড়গিলের দিকেকোত্থেকে এক মাছরাঙা উড়ে এসে,মাছের বদলে আমাকেই ঠোঁটে নিয়ে উড়ে গেল!

 

 

 

আমাদের উঠোনে রোদ ছিল না।রোদ ছিল জেমিমাদের দুয়ার ভরা।মাঝেমধ্যেই ওদের রোদ থেকে কিছু রোদ ধার চাইতে যাইতাম আর জেমিমা চাওয়ার আগে,আমাকে দেখেই কা কা করে উঠতো,আগের জন্মে জেমিমা কাক ছিল কিনা এইটা ভাবতে ভাবতেই আমার ১৮ পার!

 

 

কাক আর কেকা খেলা করছিল

রাঙাদিদুপুরে

দীর্ঘ করে পাখার কাল উড়ায় রঙিন গোল বেলুন

 

এই ই প্রথম পৃথিবী সম্পর্কে আমার ধারণা হল...

 

 

 

ঝিমিয়ে পড়েছে সাদা পায়রার ঝাঁক,

গমের খেত,

আর তুমি হাতে নিয়ে দেখছো সাদা পৃষ্ঠার চিঠি

প্রেরকের লাল মদে এগিয়ে যায় তোমার গেলাস;যেনো তুলা রাশির জাতিকা

 

কি এক দংশনের দীর্ঘজ্বালা বয়ে

বয়ে রাঙাদি 'নিজেকে সপে দেয়ার পরও জিজ্ঞেস করে

এটা কি ফাল্গুন?

 

আমি তার অলকগুচ্ছের ঢেউ দেখে স্বৈর হাওয়ায় উড়াই,আনচান এক রঙিন বেলুন।

 


1 comment: