বাক্‌ ১৪৫ ।। আলী আফজাল খান

 

 

 

বর্ষার Gun- একটি মদ মৎস্য প্রকল্প

 

Started with no Real (Need) > Imaginary (Demand) > Symbol (Desire)…just a dream

 

বর্ষনের সন্ধ্যায় বাউরী বাতাসে ফুলে উঠে সিনা, ঘন ঘন জলের শ্বাসে ফেটে যায় পাঁজর পাটাতন, সামলে সওয়ারী, বেসামাল লাগে, এই নায়ে ডুবে যদি যাত্রী, কি দোষ তার বলো শন শন শ্রী?

 

গিট খুলে গর্জনশীলচল্লিশা কার্পাল টানেলে, তবু বিবশ হাত দৃশ্যবিহ্বল স্নায়ুর ডগায়। কাঁদাখোচা পাখি চোখ থেকে তুলে বিষের শস্যদানা, এক আকাশ ছেয়ে রাখে চোখের ছায়ায়, কি গভীর সমুদ্র অই চোখের মায়ায়!

 

বৃষ্টি ছোঁয়ার কথা ছিল অথচ হিমের বনে ছেয়ে যাচ্ছে আগুন, দোচোয়ানিসহ সোনাই বজ্রবিদ্যুৎ। সুচারু বর্শায় আমাকে হত্যা করো মেঘ, বৃষ্টি হয়ে বেঁচে যাই, ভালোবাসা এক জল যার আকার নাই

 

একা একে বলকায় সে বুঝি অঞ্জুমান চূর্ণপাথর, স্পর্শওমে পোয়াতি হরকতি জলের প্রহর, আউলিবাউলি তিতা মিঠালি, চিবুকে ভেজা মাদমোয়াজল, মুহব্বতওয়ালা এই দেখ চাঁদোয়ার জল, শ্রাবণী ঝাঁপানকালে খঞ্জর গেঁথে শিয়র শিহর অথচ মগনমোহন টঙ্কারে পোয়াতি প্রণয়ের ঘর

 

বুক পকেটের রুমালে আঁকা বেহালা
বৃষ্টির মাতাল সুরে ভিজিয়ে দিচ্ছে বুক
তবু জলোচ্ছ্বাসের মতো জাগে তিয়াস
আর ভাসিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের উপকূল

 

এবং কোরকের বৃন্তে ফোটে লাবণ্য জোছনা, সে জোছনা ছাড়া লাগে কেমন দিশেহারা। এই নির্জন নি:সঙ্গতায় নীলিমায় পা, পদক্ষেপ আর পদচ্ছাপ উৎকন্ঠার, প্রখর নাব্যে না জলাঞ্জলি ঘটে যায় এই সব চুপখোপ, ছায়াসিড়ি, গাঢ় আহ্বান। দিক থেকে দিগন্তে স্বর্গ ছিড়ি, আসলে তো মিস বিট, বর্ষা জলের দাহক। দেহলী রঙ চঙ, স্বচ্ছ শমন উদগত কণ্ঠায়। ধুকপুকুনিটা বয়োম ভর্তি, হাতে নিবে লুনাটিক বর্ষন?

 

আঙুল রেখে রেখে ফাঁক হয়ে আসে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারহিরণ্যজলে তাক লেগে যায়। পটিয়সীর তাকে বেড়ে যায় নকশার তাস। বাতাস। রুহ রুহ নামে বৃষ্টির শরীর বুঝে মাটিতে গেঁথে গেল সেই ফলা ফালা বিদ্যুৎ, পুনর্বয়ব। মাটি নিজস্ব মা-টি হারিয়ে আত্মাজ আজ। দৃশ্যটির আকুতি বদলে নিল কিছু নি:শঙ্ক হরিণের দৌড়...

 

যথারীতিআষাঢ়ে কৃষ্ণচূড়াঝরতে থাকে আর আমি রক্ত রক্ত বলে পাগল, জলাতংকে স্পর্শের সুখও ভুলে যাই আর এমন বর্ষায় ভিজতে থাকে চুপখোপ সাফোকেশনে খুঁজি ডুবুরি পোশাক, ভাবি আজই ডাকু হবো নাকি?

 

[People with the name `Rockford’ have a deep inner desire to create and express themselves, often in public speaking, acting, writing or singing. They also yearn to have beauty around them in their home and work environment. And `Rockford Wines’ was started with no money, no customers, and no reputation…just a dream]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লিবিডো সেন্সর

 

শুধুমাত্র নীরবতার সুর সেলাই নিখুঁত হয় চোদনা
ঢেঁকিরে বুঝাব কত নিত্য যে ধান ভানে?
চোখাচোখি ফ্ল্যাস ব্যাকের ফিল্ম রোল
হয়তো কানে ফিস ফিস ফিস করা অশ
অথবা হয়তো পার্পল ঠোঁটে একটু ব্রাশ
মধু এবং জলপাইয়ের মতো স্বাদ স্বাদ

 

পা এবং পাছায় ট্যাটু করা পোশাকে খড়ি নড়ে
অথবা যে বুকের দুধে বিদ্যুতের এনিগমা
আরেকটু নাইট্রোজেন, কার্বন এবং হাইড্রোজেন ঊষের উসকানি
অথবা আমিষের সাথে এনজাইমের বাটিক প্রিন্টের কারুকাজ

 

কিভাবে ব্লাউজে খুলে হায়ারোগ্লিফিক তৈরি করতে হয় বলো
কিভাবে চোখ খুলে বাতাসের মতো হাঁটতে হয় বলো

 

কিভাবে ভোদার ভোঁদড় জালে
নো ম্যানস্ ল্যান্ডে ঠোঁট এবং চোখের আমিষের লা লাই

 

দাঁতের শ্বাপদ কামড়ে কামড়ে ছেনে আসে শস্যবতী শরীর

সেলাই সেলাই উৎসব
কি ভাবে ট্যাবু?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অদ্বৈত বর্ণ কুমার

 

জীবন এক শূন্য বুনন

মানুষ তো সাগর আর সূর্যে ব্লিচ পাথর

পরস্পরের হাতের তালুতে ধরা থাকে

আর বুকের মহাশূন্যে হারিয়ে যায়

 

শনিবার আকাশে চিমটি দিছিলাম
রবিবার মাটিতে
সোমবার দিন বাতাসে
বৃষ্টিকে মঙ্গলবার
বুধবার মাছকে চিমটি
বৃহস্পতিবার পাখি
শুক্রবারও বিশ্রাম নেই, নিজেকে চিমটি
কারণ সময় চলে যায়
চোখ সূর্য এবং চাঁদ হয়ে যায়
চুল মেঘ হয়ে যায়

হাড় পাহাড় হয়ে যায়

সময় বিন্দু হয়ে যায়


নৈ:শব্দ্যের পাহাড় থেকে ধ্বনির সাগরে জীবনের পলি প্রবাহিত
শেষ কাদা তৈরি করছি ৫১ প্রতীক দিয়ে
পৃথিবী গার্হস্থ্যে ৫১ ক্রিয়াই ধূলিকদম্ব


পলিতে চোখ আর বিন্দুবিসর্গ
চোখে কথার বীজ বপন করছি
প্লাস্টিক জগতে কাদার পল লয়ন, শব্দ দূর্ব্বায় wavicle

-শূন্য গঠনের কোয়ান্টাম প্রশ্নের রাঢ় শিস শো

 

 

 

 

 

গ্রে এরিয়া

 

সন্ধ্যার সময় খামার ধারের আকাশটা আবছা কুলকুলিতে শোরগোল হয়ে যায় ছেলেপুলে শেষ ধুলো উড়িয়ে প্রাণপণে জিত-হার খুঁজতে থাকে, দিন শেষে গাঁ'টায় অনন্ত চুপিসাড় নামবে বলে ঘাড় সেঁকতে থাকে অন্ধকারে বুক হু হু করে সেসময় শেষ আসমানি রঙে মুঠো মুঠো আতপচালের মতো বকের সারি ছড়িয়ে পড়তে থাকে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পাগলপারা বনবনিয়ে ঘোরে মুঠো থেকে সে মুঠো, যেন একফালি আকাশটাকে বুকফাঁক অনন্ত বানিয়েই ছাড়বে বেশিক্ষণ সেদিকে তাকালে চোখ খাক হয়ে যায় সারাজীবন কি হয়নি কি হত সব ছ্যাঁকছোঁক করে বুকে এসে লাগতে থাকে, গল্পধাবমান টলন্ত রাস্তায় এক পরী বলে গোপন গল্পগুলো কবিতায় পরিপূর্ণ: পাখিরা কি গান গায়, বাতাস কি বহন করে, কুয়াশার মধ্যে কি ঘুরে বেড়ায়, প্রেমিকা কি স্বপ্ন দেখে- ভেতরে খালি যন্তরমন্তর

পাখিদের কোনো দাঁত নেই,
তারা চঞ্চু দিয়ে মাছ ধরে

পাখিরা পরীদের মতো
তাদের ডানা আছে


পাখিরা শিল্পী নয়
তবু তারা গান গায়

সাজ--গজল সুরসুন্দর অলকে


হাওয়ামহলে রঙ করে
সকাল বেলায়

রঙ্গ রঙ্গ ধুলোর পাশে

 

যদিও খাঁচা থেকে তুমি আকাশ দেখতে পারো, কখনো ভুলে যাবে না তোমার ডানা আছে, কল্পনা কত সহজে বের হয়ে আসে ডানায়। আমি সবসময় ভেবেছি কেন পাখিরা একই জায়গায় থাকতে পছন্দ করে এবং পৃথিবীতে কোথাও উড়ে যায় না। তারপর আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করি একই প্রশ্ন

খাঁচা থেকে খারাপ কিছু আছে, ভাঙা ডানা...

শিকারের গল্পে হাঁপটান লাগে

তোমার ডানার তলে আমাকে লুকিয়ে দাও

প্রেম জানে হৃদয়ের গান এবং
স্মৃতি ব্যর্থ হলে আমাকে গায়

গলার বাক্সে বর্ষা বসেছে বেদম

কেমন জল পড়ছে জবার পাতাগুলোর পেটভারী করে দিয়ে...

 

 

 

 

বাতাসের সিংহ

 

তোমার লাইনগুলো সাদা করে দাও; তোমাকে লেখার জন্য আমার চোখে কালি আছে ব্যালেরিনা পদ্মনাভে চুরিময় শব্দ, এসো অঙ্গুুলী বৃত্ত করি শালগম শিলাস্পর্শ স্পর্শ শব্দের চেয়ে বেশি বলে, কাঁচা ঘটতে থাকা তোমার সান্নিধ্যের চেয়ে সত্যি, সুন্দর প্রাপ্তি কিছু নেই, তবু আমি এক দূরত্ব বর্তমান জল ছই ছই অনুরণনে অতুল আলতাপাটি, খিলকবাট সৌন্দর্য-সৌকর্য হ্লাদ-আহ্লাদ স্পর্শওম নৃত্যপরে কন্ঠলগ্ন ঘিরে উড়ছে তিরতির প্রাণময় তীর, শ্যামাপোকার আঁশলায় তলোয়ার তলে গর্দান হাতড়াই ঘরের পড়শী আর খুলির কোটর, আজলায় ফেনিল শব্দ, চোখের নকশীকাথায় ফুটফুটে শিশুর মতো চোখ মেলে আছে মাদলমদির, তাকে আদর দাও পদ্মসিন্ধু ভরে, সমুদ্র যে একশূন্যঘর গর্জন বলেনি হাওয়ার গাজন? গর্ভিণী মেঘ গেহগন্ধে গলগলিয়ে ডাকে বন্দিনী আকাশ, অকুলদুয়ার পিয়ানোর রিড বলো তারে জ্বরতাপ টঙ্কার...

 

নোলকলতার মাতাল ঢেউয়ে রাত মর্মর
চুরিময় শব্দে খসে পড়ছে কিছু উলেন বল
আমাকে বুকে একা ছেড়ে কোথায় থাকো?

 

আলীকেই বলো পাতালপুরীর রূপকথা
ত্রিযামা যামিনীর ঘামরক্তজল গলগল,
সুরের মুর্ছনায় আস্তাবলে ঘোড়ার খুর চঞ্চল

 

এসো এবং দরজা খোলো
এমনকি যদি অন্য কিছু না থাকে
শুধু রাতের টিকটিকি
আর কিছু না থাকলেও
যদি থাকে বধির বাতাস

 

যদিও কিছু নেই,
রত্নসাজে ঝলমল কায়াকথার কুঠুরী
এসো এবং দরজা খোলো
অন্তত একটা কাঁচা স্পর্শ ঝড় হোক

 

3 comments:

  1. সবগুলো খুব ভালো লেগেছে। কবির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।

    ReplyDelete
  2. আপনার নিজস্ব ভঙ্গির সাথে সাথে কবিতাগুলোর প্রত্যেকটিই খুব ভাল লাগল।
    (জিললুর)

    ReplyDelete
  3. তোমার তুলনা তুমি। কবিতাগুলো পড়ে মুগ্ধ আমি। <3

    ReplyDelete