বাক্‌ ১৪৫ ।। মারুফ আহমেদ নয়ন

 

দেবতাখূমের অন্ধকারে  

 

যখন আমি থাকবো না, তুমি সমুদ্র ভ্রমণে যেয়ো, দু-পাশে পাহাড়, সারি সারি নারিকেল বন, তোমাকে ইর্ষা করবে। বাতাসে কাঁপতে থাকবে পিয়ানোর রিডগুলো। মনে পড়বে, এই অরণ্যে রাত ভর বৃষ্টি। খোঁপা খুলে ভিজেছিলো তোমার দীঘল চুল।

 

তখন আমি দেবতাখূমের অন্ধকারে নিজেকে খুঁজছি। পাখি সংগীতের এমন দিনে কেনো যে পালক হারায়। পাতা ঝরা দিন মানে তো শীতকাল নয়। ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের হৃদপিন্ডের ভেতর বসে গুনগুন করে গান গাইছি। 

 

এমন দুপুর, মদের মৌসুম, জুয়ার টেবিলে নিজের মাথাকে রেখেছি বন্ধক। তুমি কি করুণা করে এসে দেখে যাবে, জল্লাদের লোমশ হাত ছুঁয়ে আছে কন্ঠনালী।   

      

 

অপরাধ বোধ

 

তোমার হাসির ফোয়ারা সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে। সাবানের ফেনার মতো ঘ্রাণ। আমি জলের গ্লাস হাত থেকে রাখতে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলি। পা পিছলে পড়ে যাই। যেনো শুনতে পাই, ঝড় কবলিত জাহাজে নাবিকের প্রার্থনা সংগীত। যদি এবার বেঁচে ফিরি, নিজেকে ফেরী করে আর ঘুরবো না বন্দরে বন্দরে।

 

তোমার শরীরে ফুল ফুটে উঠার দৃশ্যতে মুগ্ধ হবো না। তোমার স্তনের গভীরে কালো তিলের আড়াল আমার দেখা হবে না। আমি কেবল সমুদ্রের ফুঁসে উঠা ঢেউয়ের সাথে আছড়ে পড়েছি।

 

এ মূলত জীবন পচে যায়, দূর্গন্ধ ছড়ায়। তোমাকে সম্পূর্ণ ভালবাসতে না পারার অপরাধ বোধে। 

 

No comments:

Post a Comment