১
শুধু আজ
এই রক্তহীন শরতের দুপুরে
রোদ কেটে কেটে ফ্রেম বানানোর পর
তাদের টগবগে ঈশ্বরে রাখা হয়
মানচিত্র অবধি যে রাস্তাটি চলে গেছে
সেখানে আজও ক্ষয়ে যাওয়া পাখিদের গ্রাম অপেক্ষা করছে
সারিবদ্ধ সন্তানের হাড়-মাংস বুকে নিয়ে
এখন তাদের গায়ে শ্রাবস্তির সমানুপাত
পেটে অপরিচিত তীক্ষ্ণ দাঁত
মুখে মুখহীন কতগুলো মুখ
এভাবেই এখনও ঝরে চলছে পৃথিবীর লালারস
আর আমি ভেবে চলেছি ঈশ্বরের যন্ত্রণা
২
তারপর,
আমরা বেঁচে থাকি পৃথিবীর চাকরবাকর হয়ে
এখন প্রার্থনাশালার মাইক থেকে শয়তানের হাসির স্বর কানে আসে
আর পাশের বাড়ির আলো বিক্রি হয়ে যায়
কোনও আগুনমুখো যুবকের কাছে।
চারপাশে কীরকম একটা শীতকালীন অন্ধকার
আমরাই ঝলসে যেতে থাকি রামধনুর রঙে
এই অসময়ের কাঁধে হাত রাখতে পারি না
কবেকার জলের দাগ মুছতে পারিনা
পাঁজরের উঠোনে বয়ে যায় ফুলহার নদীর আত্মকথা
কেননা মানুষেরও দিনের শেষে ডানা ঝাপটাতে ইচ্ছে করে
৩
এই যে ঘুমের মাঝে মাঝে এক ফালি রোদ লেগে থাকে।
শীতকালীন ছাদে অসুখী জীবন কসরত করে
তখনও শ্রাবণকালীন গুমোট অপেক্ষা করে সদর দরজায়
যেখানে পড়ে আছে ছিন্নভিন্ন কয়েকটা হাসির টুকরো
মনে আছে
সে মেঘের গা থেকেই চিরকালীন ধুয়ে যাওয়া চেয়েছিলো কত বিনিদ্র রাত?
এখনও চোখ খুলে দেখলে কয়েকটা বিচ্ছিরি জলের দাগ চোখে পড়ে
সেদিনের নিবিড় আশ্বিন খসে পড়ে আছে দুমড়ে মুচরে যাওয়া ফুলহারের পারে
তারা এখনও কি জানে?
মানুষের নরম জিভ চিতাকাঠের গান গাইতে পারেনা।
ভালো লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ!
Deleteমানুষের নরম জিভ চিতাকাঠের গান গাইতে পারে না...
ReplyDeleteঅসম্ভব ভালো। একটা সত্য কাজ করছে যেন লেখাটিতে।
আপনার ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগছে। ভালবাসা নেবেন।
Deleteমানুষের নরম জিভ চিতাকাঠের গান গাইতে পারে না...
ReplyDeleteঅসম্ভব ভালো। একটা সত্য কাজ করছে যেন লেখাটিতে।
ভালো লাগলো ভাই
ReplyDeleteখুব আনন্দ পেলাম। ভালোবাসা নেবেন।
Deleteখুব ভালো লাগলো।
ReplyDelete